শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
আগামি রোজা উপলক্ষে সরকারের আগের ভাতাভোগীদের সঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কম দামের টিসিবির পণ্য বিক্রি গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে চান্দপুর গ্রামে সরকার ভর্তুকির টিসিবি পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দিরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ-উদ-দৌলা, করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস, সাংবাদিক মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম ৩১ মার্চ পর্যন্ত রোজার আগে প্রথম পর্বে সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল বিক্রি করা হবে। এরপর রোজা শুরু হলে ৩ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে ওই তিন পণ্যের পাশাপাশি ছোলাও বিক্রি করা হবে। উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হবে। এছাড়া ২ কেজি করে ছোলা পাবেন ৫০ টাকা দরে। এ বছর দিরাই উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২৫০ জনকে ফ্যামেলি কার্ড দেয়া হয়েছে, এরমধ্যে করিমপুর ইউনিয়নে এক হাজার ৫শত ও রফিনগর ইউনিয়নে এক হাজার ৭৫০ জন।
এদিকে কম দামে টিসিবির পণ্য বিক্রির তালিকা করতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, মেম্বার নিজের লোকদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রায় ২ বছর আগের তালিকার সাথে কিছু নাম দিয়েছে। এখানে দিরাই পৌরসভার অনেক ভোটারদের নামও রয়েছে।
এ ব্যাপারে মেম্বার দিলীপ বর্মণ জানান, করোনাকালীন ভাতা ভোগীদের নামের তালিকার সাথে কিছু নাম অন্তর্ভূক্তি করেছি। তবে স্বজনপ্রীতির বিষয়ে কোন সদুত্তর দেননি।
করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস জানান, ইউনিয়নে মোট এক হাজার ৫শত জনকে কম দামের সরকারের ভর্তুকির টিসিবি পণ্য বিক্রির আওতায় নেয়া হয়েছে।